নারীর সৌন্দর্যের একটি রহস্য হচ্ছে চুল। আপনি নিজেকে কীভাবে সাজাবেন তা অনেকটাই নির্ভর করে চুলের ওপর। তাই হালকা সাজ হোক কিংবা ভারি চুলের সাজের বেলায় ছাড় দেয়া অসম্ভব। আর তাই চুলের যত্নও আবশ্যক।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাবার যেমন আমাদের শক্তি জোগায় তেমনি চুলেরও খাবার প্রয়োজন তার শক্তি জোগাতে। সঠিক পুষ্টির অভাব চুল যেমন রুক্ষ করে দিতে পারে তেমনি চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে চুল পড়া, আগা ফাটা, খুশকি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই ঘরোয়া যত্নে আপনার চুল ফিরে পেতে পারে প্রাণ আর আপনি যে কোনো সাজের সঙ্গে চুলের স্টাইল আপনার মনের মতো করে বেছে নিতে পারেন। অন্যদিকে চুলের রুক্ষতার পেছনে কারণ হতে পারেন আপনার প্রতিদিনের রুটিনে থাকা কাজ। কাজের খাতিরে অনেকেই দিনের লম্বা একটা সময় কর্মস্থলে দিয়ে থাকে। আর এতে করে চুল খুব সহজেই বাইরে
ধুলাবালির সংস্পর্শে চলে আসে। যার কারণে চুলের রুক্ষতা দিন দিন বেড়ে গিয়ে চুলের আগা ফাটা কিংবা খুশকির মতো সমস্যায় রূপ নেয়। তাই বাইরে যতটা সম্ভব চুল খোলা না রাখাই ভালো। এছাড়া সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করা উচিত। এতে চুল ভালো থাকে। শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন যাতে কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় না পৌঁছায়। চুলের বাইরের অংশে কন্ডিশনার দিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে নিন এবং টাওয়েল দিয়ে হালকা করে মুছে নিন। ভেজা চুল কখনোই আঁচড়াবেন না। এতে করে চুলের ক্ষতি হতে পারে। ভেজা চুল বেঁধে রাখবেন না। চুল সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে বেঁধে নিতে পারেন। চুল বাঁধার ক্ষেত্রে রাতের বেলা ঘুমানোর সময় চুল না বাঁধাই ভালো। এতে করে চুল ভেঙে যেতে পারে। এছাড়া সপ্তাহে তিনদিন গোসলের আগে হালকা গরম তেল চুলে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। যাদের চুল পড়ার সমস্যা আছে তারা নারিকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টার ওয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে। অন্যদিকে ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্নের ক্ষেত্রে মেথি, মেহেদি, ডিমের সাদা অংশ, পিঁয়াজের রস চুলে দিতে পারেন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং চুলে সিল্কি ভাব আসবে। এসব কিছুর পাশাপাশি প্রতিদিন আট গ্লাস পানি পান করুন সবুজ শাক-সবজি রাখুন খাবার তালিকাতে। এতে করে আপনি যেমন থাকবেন সুস্থ তেমনি আপনার চুলও থাকবে প্রাণবন্ত।